কবিতা

ষষ্ঠ শ্রেণি (মাধ্যমিক) - বাংলা - সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি | | NCTB BOOK
86
86

কবিতা পড়ি ১

 

বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি সব বয়সের মানুষের জন্য সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখেছেন। অল্প বয়স থেকেই তিনি কবিতা ও গান রচনা করতে পারতেন। নিচে কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতা দেওয়া হলো।

কবিতাটি নীরবে পড়ো; পড়ার সময়ে অর্থ বোঝার চেষ্টা করো। এরপর শিক্ষকের নির্দেশ অনুযায়ী সরবে আবৃত্তি করো।

আমি সাগর পাড়ি দেবো 

কাজী নজরুল ইসলাম

 

আমি সাগর পাড়ি দেবো, আমি সওদাগর। 

সাত সাগরে ভাসবে আমার সপ্ত মধুকর।

 আমার ঘাটের সওদা নিয়ে যাব সবার ঘাটে, 

চলবে আমার বেচাকেনা বিশ্বজোড়া হাটে। 

ময়ুরপঙ্খি বজরা আমার ‘লাল বাওটা’ তুলে

 ঢেউ-এর দোলায় মরাল সম চলবে দুলে দুলে।

 সিন্ধু আমার বন্ধু হয়ে রতন মানিক তার

 আমার তরি বোঝাই করে দেবে উপহার।

 দ্বীপে দ্বীপে আমার আশায় রাখবে পেতে থানা, 

শুক্তি দেবে মুক্তামালা আমারে নজরানা। 

চারপাশে মোর গাংচিলেরা করবে এসে ভিড়

 হাতছানিতে ডাকবে আমায় নতুন দেশের তীর।

আসার হাওর কুমির তিমি—কে করে তায় ভয়; 

বলব, ওরে, ভয় পায় যে— এ সে ছেলেই নয় ।

 সপ্ত সাগর রাজা আমার, আমি বণিক বীর, 

খাজনা জোগায় রাজ্যে আমার হাজার নদীর নীর।

 তার করি না তোদের দুটো দন্ত নম্বর দেখে, 

জন-দস্যু, তোদের তরে পাহারা খেলাম রেখে 

সিন্ধু-গাজি মারামাঝি, নৌ-সেনা ঐ জেলে, 

বর্গা দিয়ে বিধবে তারা, রাজ্যে আমার এলে। 

দেশে দেশে দেয়ান গাঁথা রাখব নাকো আর, 

বন্যা এনে ভাঙব বিভেদ করব একাকার । 

আমার দেশে থাকলে সুধা তাদের দেশে নোৰো 

তাদের দেশের সুধা এনে আমার দেশে দেবো। 

বলব থাকে, ওয় কী গো মা, বাণিজ্যেতে যাই। 

সেই মণি মা দেবো এনে তোর ঘরে যা নাই । 

দুঃখিনী তুই, তাই তো মা এ দুখ ঘুচাব আজ, 

জগৎ জুড়ে সুখ কুড়ার ঢাকৰ মা এ লাজ। 

 জহরত পান্নাচুনি মুক্তামালা আনি 

আমি হব রাজার কুমার, মা হবে রাজরানি।

 

শব্দের অর্থ

গাংচিল= পাখির নাম। 

খাজনা= কর।

ৰণিক= ব্যবসায়ী।

বাণিজ্য= ব্যবসা।

বিভেদ= পার্থক্য।

চুনি= মূল্যবান পাথর।

ময়ুরপঙ্কখী বজরা= সামনের দিকে ময়ুরের আকৃতিযুক্ত বড়ো নৌকা।

জলদস্যু= যারা সমুদ্রে ডাকাতি করে।

জহরত= মুল্যবান পাথর।

তরি= নৌকা।

লাল বাওটা= লাল রঙের পাল।

থানা = আস্তানা।

সওদাগর= বড়ো ব্যবসায়ী।

সপ্ত মধুকর= বাণিজ্যতরির নাম। 

সিন্ধু = সাগর।

নজরানা= উপহার।

সিন্ধু-গাজিদ= সাগরের বীর।

সুধা= এক ধরনের পানীয়।

শুক্তি= ঝিনুক।

নৌ-সেনা= নৌবাহিনীর সদস্য।

পাড়ি দেওয়া= পার হওয়া। 

হাতছানি= হাত দিয়ে ইশারা করা।সওদা= পণ্য 

পান্না= মুল্যবান পাথর।

 

কবিতা বুঝি

শিক্ষকের নির্দেশ অনুযায়ী তোমরা দলে ভাগ হও। এই কবিতায় কী বলা হয়েছে, তা দলে আলোচনা করে বোঝার চেষ্টা করো। কোন দল কেমন বুঝতে পেরেছে, তা যাচাই করার জন্য এক দল অপর দলকে প্রশ্ন করবে। এজন্য আগেই দলে আলোচনা করে কাগজে প্রশ্নগুলো লিখে রাখো।

 

বুঝে লিখি

“আমি সাগর পাড়ি দেবো’ কবিতাটি পড়ে কী বুঝতে পারলে তা নিচে লেখো।

 
 
 
 
 

 

জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি

‘আমি সাগর পাড়ি দেবো’ কবিতাটির সাথে তোমার জীবনের বা চারপাশের কোনো মিল খুঁজে পাও কি না, কিংবা কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাও কি না, তা নিচে লেখো।

 
 
 
 
 

 

মিল-শব্দ খুজি

ছড়া-কবিতায় এক লাইনের শেষ শব্দের সাথে পরের লাইনের শেষ শব্দের মিল থাকে। যেমন: সওদাগর- মধুকর, ঘাটে হাটে, ভুলে-দুলে ইত্যাদি। তোমরাও এভাবে মিল-শব্দ তৈরি করতে পারো। নিচে কিছু শব্দ দেওয়া হলো। এগুলোর এক বা একাধিক মিল শব্দ লেখো।

শব্দ 

মিল-শব্দ 

১. ঘাট 

 

২. কেনা 

 

৩. রতন 

 

৪. দোলা 

 

৫. তার 

 

৬. আশা 

 

৭. দেশ 

 

৮. ভয় 

 

৯. হাজার 

 

১০. তর 

 

১১.করব

 

১২. দেয়াল 

 

এভাবে যে কোনো শব্দের মিল-শব্দ তৈরি করা যায়। তোমরা এবার জোড়ায় জোড়ায় মিল-শব্দের খেলা খেলতে পারো। একজন উপরের বারোটি শব্দের বাইরে যে কোনো একটি শব্দ বলবে; অন্যজন সেটির মিল-শব্দ  বানাবে।

 

কবিতা পড়ি ২

জসীমউদ্দীন পল্লিকবি নামে পরিচিত। তিনি পল্লির জীবন ও প্রকৃতি নিয়ে অনেক কবিতা লিখেছেন। নিচের কবিতাটি তাঁর ‘হাসু’ নামের কবিতার বই থেকে নেওয়া হয়েছে।

কবিতাটি নীরবে পড়ো; পড়ার সময়ে অর্থ বোঝার চেষ্টা করো। এরপর শিক্ষকের নির্দেশ অনুযায়ী সরবে আবৃত্তি করো।

আমার বাড়ি

জসীম উদ্দীন

 আমার বাড়ি যাইও ভোমর 
বসতে দেবো গিড়ে, 
জলপান যে করতে দেবো
শালি ধানের চিঁড়ে।
শালি ধানের চিঁড়ে দেবো
বিন্নি ধানের খই, 
বাড়ির গাছের কবরি কলা
গামছা-বাধা দই 
আম-কাঁঠালের বনের ধারে
শুয়ো আচল পাতি,
গাছের শাখা দুলিয়ে বাতাস
করব সারা রাতি
গাই দোহনের শব্দ শুনি
জেগো সকাল বেলা, 
সারাটা দিন তোমায় লয়ে
করব আমি খেলা।
আমার বাড়ি ডালিম গাছে 
ডালিম ফুলের হাসি, 
কাজলা দিঘির কাজল জলে
হাঁসগুলি যায় ভাসি।
আমার বাড়ি যাইও ভোমর
এই বরাবর পথ,
মৌরি ফুলের গন্ধ খুঁজে 
থামিও তব রথ।

 


শব্দের অর্থ

আঁচল = শাড়ির শেষ ভাগ।।

পিঁড়ে = কাঠের তৈরি ছোটো ও নিচু আসন।

কবরি কলা= দেশি জাতের কলা।

বিন্নি ধান= ধানের নাম।

তব = তোমার।

 কাজলা দিঘি = যে দিঘির পানি দেখতে কালো মনে হয়।

গাই দোহন = গোরুর দুধ দোয়ানো।

মৌরি ফুল= ফুলের নাম।

ভ্রমর=  মধুদায়ী এক রকমের পোকা।

রথ = এক ধরনের বাহন।

জলপান = হালকা নাশতা।

গামছা বাধা দই = জমাট দই 

 

কবিতা বুঝি

শিক্ষকের নির্দেশ অনুযায়ী তোমরা দলে ভাগ হও। ‘আমার বাড়ি’ কবিতায় কী বলা হয়েছে, তা দলে আলোচনা করে বোঝার চেষ্টা করো। কোন দল কেমন বুঝতে পেরেছে, তা যাচাই করার জন্য এক দল অপর দলকে প্রশ্ন করবে। এজন্য আগেই দলে আলোচনা করে কাগজে প্রশ্নগুলো লিখে রাখো।

 

বুঝে লিখি

“আমার বাড়ি” কবিতাটি পড়ে কী বুঝতে পারলে তা নিচে লেখো।

 
 
 
 
 
 

 

জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি

আমার বাড়ি’ কবিতাটির সাথে তোমার জীবনের বা চারপাশের কোনো মিল খুঁজে পাও কি না, কিংবা কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাও কি না, তা নিচে লেখো।

 
 
 
 
 
 

 

কবিতায় শব্দের পরিবর্তন

কবিতায় অনেক সময়ে শব্দের চেহারায় কিছু পরিবর্তন হয়। ছন্দ মেলাতে গিয়ে কবিরা সাধারণত এটি করে থাকেন। ‘আমার বাড়ি” কবিতা থেকে এমন কিছু শব্দের তালিকা দেওয়া হলো:

কবিতার ব্যবহৃত শব্দ

শব্দের প্রমিত রূপ

যাইও

যেয়ো

তোমর

ভ্রমর

পিড়ে 

পিড়ি

শুয়ো

শুয়ে থেকো

পাতি 

পেতে

শব্দ শুনি

শব্দ শুনে 

ভাসি

ভেসে

তব

তোমার

লয়ে 

নিয়ে 

 

কবিতাকে গদ্যে রূপান্তর

কবিতায় যে বর্ণনা থাকে, তাকে গদ্যে রূপান্তর করা যায়। ‘আমার বাড়ি’ কবিতা থেকে এ রকম একটি বিবরণ তৈরি করা হলো:

বন্ধু, তুমি আমার বাড়িতে বেড়াতে এসো। বসার জন্য তোমাকে পিড়ি পেতে দেবো। নাশতা হিসেবে শালি ধানের চিঁড়া ও বিন্নি ধানের খই দেবো। সাথে দেবো কবরি কলা আর গামছা বাঁধা দই। আম-কাঁঠাল ঘেরা গাছের ছায়ায় আঁচল পেতে শুয়ে থেকো। গাছের শাখা দুলিয়ে তোমাকে বাতাস করব। সকালবেলা তোমার ঘুম ভাঙবে গোরুর দুধ দোয়ানোর শব্দ শুনে। সারাদিন আমি তোমার সঙ্গে খেলা করব। আমার বাড়ির ডালিম গাছে ডালিম ফুল ফোটে। কাজলা দিঘির জলে হাঁস সাঁতার কাটে। আমার বাড়িতে যাওয়ার সোজা রাস্তা আছে; যেখানে মৌরি ফুল ফোটে, সেখানে গিয়ে তোমার গাড়ি থামিয়ো।

 

কবিতা পড়ি ৩ 

শামসুর রাহমান বাংলাদেশের প্রধান কবিদের একজন। তিনি ছোটোনের জন্য কয়েকটি কবিতার বই লিখেছেন। এগুলোর মধ্যে আছে ‘এলাটিং বেলাটিং’, ‘ধান ভানলে কুঁড়ো দেবো’, ‘গোলাপ ভোটে খুকির হাতে’, ‘রংধনুর সাঁকো’ ইত্যাদি। নিচের ‘বাঁচতে দাও’’ কবিতাটি কবির ‘রংধনুর সাঁকো’ নামের কবিতার বই থেকে নেওয়া হয়েছে।

কবিতাটি নীরবে পড়ো; পড়ার সময়ে অর্থ বোঝার চেষ্টা করো। এরপর শিক্ষকের নির্দেশ অনুযায়ী সরবে আবৃত্তি করো।

 বাঁচতে দাও 

শামসুর রহমান

এই তো দ্যাখো ফুলবাগানে গোলাপ ফোটে,
ফুটতে দাও।
রঙিন কাটা ঘুড়ির পিছে বালক ছোটে 
ছুটতে দাও।
নীল আকাশের সোনালি চিল মেলছে পাখা,
মেলতে দাও। 
জোনাক পোকা আলোর খেলা খেলছে রোজই,
মেলতে দাও।
মধ্য দিনে নরম ছায়ায় ডাকছে ঘুঘু, 
ডাকতে দাও। 
বালির ওপর কত কিছু আঁকছে শিশু
আঁকতে দাও।
কাজল বিলে পানকৌড়ি নাইছে সুখে,
নাইতে দাও। 
গহিন গাঙে সুজন মাঝি বাইছে নাও,
বাইতে দাও।
নরম রোদে শ্যামা পাখি নাচ জুড়েছে,
নাচতে দাও।
শিশু, পাখি, ফুলের কুঁড়ি—সবাইকে আজ
বাঁচতে দাও।
 

শব্দের অর্থ

কাজল বিল=  যে বিলের পানি কালো দেখায়।

নাইতে= গোসল করতে।

কাটা ঘুড়ি = যে ঘুড়ির সুতা ছিঁড়ে গেছে।

পানকৌড়ি= কালো রঙের মাছ শিকারি পাখি।

গহিন গাঙ =  বিশাল নদী।

শ্যামা= পাখির নাম।

জোনাক=  জোনাকি।

সুজন মাঝি=  দরদি মাঝি।

 

কবিতা বুঝি

শিক্ষকের নির্দেশ অনুযায়ী তোমরা দলে ভাগ হও। ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় কী বলা হয়েছে, তা দলে আলোচনা করে বোঝার চেষ্টা করো। কোন দল কেমন বুঝতে পেরেছে, তা যাচাই করার জন্য এক দল অপর দলকে প্রশ্না করবে। এজন্য আগেই দলে আলোচনা করে কাগজে প্রশ্নগুলো লিখে রাখো।

বুঝে লিখি

“বাঁচতে দাও’ কবিতাটি পড়ে কী বুঝতে পারলে তা নিচে লেখো।

 
 
 
 
 
 

জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজি

‘বাঁচতে দাও’ কবিতাটির সাথে তোমার জীবনের বা চারপাশের কোনো মিল খুঁজে পাও কি না, কিংবা কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাও কি না, তা নিচে লেখো।

 
 
 
 
 
 
 
 

 

ভালে তালে পড়ি

“বাঁচতে দাও’ কবিতাটি সবাই মিলে হাতে তালি দিয়ে দিয়ে পড়ো। যেখানে যেখানে তালি পড়ছে, সেখানে সেখানে বাঁকা দাঁড়ি দেওয়া হয়েছে। পড়ার সময়ে এটা খেয়াল করো।

/এই তো দ্যাখো ফুলবাগানে / গোলাপ ফোটে, ফুটতে দাও।

/নীল আকাশের / সোনালি চিল / মেলছে পাখা, / মেলতে দাও। 

/মধ্য দিনে / নরম ছায়ায় / ডাকছে যুক্ত, ডাকতে দাও।

/বালির ওপর কিছু আঁকছে শিশু থাকতে দাও।

/রঙিন কাটা / মুভির পিছে বালক ছোটে, ফুটতে দাও।

 / জোনাক পোকা আলোর খেলা খেলছে রোজই, 

/ খেলতে দাও। / কাজল বিলে / পানকৌড়ি /নাইছে সুখে, নাইতে মাও।

/সুজন মাঝি বাইছে নাও, বাইতে দাও। 

/নরম রোদে শ্যামা পাখি /নাচ জুড়েছে, নাচতে দাও।

 /শিশু, পাখি, / ফুলের কুঁড়ি—সবাইকে আজ /বাঁচতে দাও।

 

কবিতার বৈশিষ্ট্য খুঁজি

উপরে তিনটি কবিতা পড়েছ। এই কবিতাগুলোর সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার মাধ্যমে বৈশিষ্ট্যগুলো বোঝার চেষ্টা করো।

ক্রম 

প্রশ্ন 

হ্যাঁ 

না 

পরপর দুই লাইনের শেষে কি মিল-শব্দ আছে?  

হাতে তালি দিয়ে দিয়ে কি পড়া যায়?  

লাইনগুলো কি নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের?  

লাইনগুলো কি সুর করে পড়া যায়?  

এটি কি গদ্য ভাষায় লেখা?  

এটি কি পদ্য-ভাষায় লেখা?  

এর মধ্যে কি কোনো কাহিনি আছে?  

এর মধ্যে কি কোনো চরিত্র আছে?  

এখানে কি কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে?  

১০

এটি কি কয়েকটি অনুচ্ছেদে ভাগ করা?  

১১

এর মধ্যে কি কোনো সংলাপ আছে?  

১২

এটি কি অভিনয় করা যায়?  

 

কবিতা কী

মনের ভাব সুন্দর ভাষায় ছোটো ছোটো বাক্যে যখন প্রকাশিত হয়, তখন তাকে কবিতা বলে। কবিতায় সাধারণত পরপর দুই লাইনের শেষে মিল-শব্দ থাকে। কবিতা তালে তালে পড়া যায়। কবিতায় লাইনগুলো নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের হয়। কবিতার ভাষা গদ্যের ভাষার চেয়ে আলাদা। অনেক সময়ে শব্দের চেহারাতেও কিছু পরিবর্তন হয়ে থাকে। যাঁরা কবিতা লেখেন তাঁদের কবি বলে।

 

কবিতা লিখি

যে কোনো বিষয় নিয়ে কবিতা লেখা যায়। মনের কোনো একটা ভাব বা আবেগ কবিতার মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়। এই ভাব বা আবেগ সুখের হতে পারে, দুঃখের হতে পারে, বিস্ময়ের হতে পারে, এমনকি কোনো কিছুর প্রতি ভালোবাসারও হতে পারে। যেমন— কোনো ঘটনা যদি তোমাকে আনন্দ দেয়, কোনো কিছু হারানোর বেদনা যদি তোমাকে কষ্ট দেয়, কিছু দেখে যদি তুমি অবাক হও বা বিস্মিত হত, কিংবা যে কোনো কিছুর জন্য যদি তুমি ভালোবাসা অনুভব করো, তবে সেগুলোর মধ্য থেকে কোনো একটা বিষয় নিয়ে কবিতা লিখতে পারো।

নিচে কিছু ফাঁকা জায়গা রাখা হয়েছে। এই ফাঁকা জায়গায় তুমি নিজে বানিয়ে বানিয়ে একটি কবিতা লেখো। কবিতাটি হতে পারে চার, আট বা বারো লাইনের। কবিতা লেখার সময়ে কবিতার বৈশিষ্ট্যগুলো খেয়াল রেখো। কবিতার একটি নাম দাও।

 
 
 
 
 
 
 
 

 

যাচাই করি

তোমার লেখা কবিতায় নিচের বৈশিষ্ট্যগুলো আছে কি না, যাচাই করে দেখো।

১. পরপর দুই লাইনের শেষে মিল-শব্দ আছে কি না।

২, তালে তালে পড়া যায় কি না।

 ৩. লাইনগুলো নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের কি না।

৪. এর ভাষা গদ্যের ভাষার চেয়ে আলাদা কি না।

৫. শব্দের চেহারায় কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না।

একজনের লেখা কবিতা অন্যকে পড়তে নাও। প্রত্যেকের কবিতা নিয়ে পরস্পর মত বিনিময় করো।

 

Content added By
Promotion